ব্যাংক নিউজ২৪ডটকম:দীর্ঘ দর পতনের পর বিভিন্ন মহলের একান্ত চেষ্টায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দেশের পুঁজিবাজার। নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল বিনিয়োগকারীরা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছিলেন, আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু মাস না পেরোতেই ফের আগের চিত্র চিত্রায়িত হচ্ছে বাজারে। টানা দরপতনের বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে বাজার। ছয় কার্যদিবসের টানা পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৩০৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে। এ ছাড়া সূচকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে শুরু করেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি কারণে বাজারে পতন চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এক মাসে একাধিক প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তি। নতুন কোম্পানি বাজারে এলেই তার শেয়ারের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এর ফলে অনেকেই ভাল মৌলভিত্তির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করে এসব নতুন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু তারা লক্ষ্য করেনি নতুন কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ছে। ফলে গত কয়েকদিনে দেখা গেছে, ভাল মৌলভিত্তির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল সূচকের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে গোটা বাজার নিম্নগামী হয়ে
পড়েছে। অন্যদিকে যাঁরা নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা বাজার নিম্নগামী দেখে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এর ফলে বাজারে বিক্রির চাপ বাড়ছে।
অন্যদিকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন বাজারের বর্তমান পতনের পেছনে মার্চেন্ট ব্যাংকের হাত রয়েছে। তাঁরা বলছেন, চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে অমনিবাস হিসাব পৃথক বিও হিসেবে রূপান্তরিত করার শেষ সময়। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এই সময় বাড়ানোর পক্ষে। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংক তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা চাপ সৃষ্টি করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বাজার পতনে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া চলতি সংসদে নতুন কোম্পানি আইন পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এ আইন পাস হলে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্ষমতা অনেক কমে যাবে। সেটাও পতনের পেছনে ভূমিকা রাখছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতাও বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আবার বেশি পতনের আশঙ্কায় অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পতনে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ধৈর্য ধরে বুঝে শুনে বিনিয়োগ করলে বাজার স্থিতিশীল হবে।