ব্যাংক নিউজ ২৪ ডট কমঃ সুইস ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ভারতীয়দের কালো টাকার হদিস দিতে তদন্তে নেমেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিআইটি)।ইতোমধ্যে দলটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বহুজাতিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি-র তালিকাভুক্ত ৬২৮টির মধ্যে অর্ধেক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। তালিকার শতাধিক নামও একাধিক বার এসেছে।ইন্ডিয়াটুডেসহ শুক্রবার ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের আয়কর দপ্তর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই তালিকার জেনেভার এইএসবিসি-র ৬২৮টির মধ্যে ৩০০ অ্যাকাউন্টের তদন্ত শুরু করে।
তা দেখতে গিয়ে নজরে আসে ২৮৯টি অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থই নেই। তালিকায় ১২২ জনের নাম আবার দু’বার করে ব্যবহার করা হয়েছে।
সরকারি এক সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারের পক্ষ আরও ৭৫টি দেশের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে; যাতে কর ফাঁকি দেওয়া, বিদেশে পাচার হওয়া টাকার হদিস পাওয়া যায়। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে তাজাকিস্তান, আয়ল্যান্ড মায়ানমার প্রভৃতি দেশ৷
প্রসঙ্গত, বিদেশি ব্যাংকে কালো টাকা গচ্ছিত রেখেছেন এমন ৬২৭ জন ভারতীয়ের নামের তালিকা গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর ৩ দিন পরই কালো টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দেন, বিদেশি ব্যাংকে কালো টাকা থাকলে তা অবশ্যই ফিরিয়ে আনা হবে।
উল্লেখ, গত ২৭ অক্টোবর সুইস ব্যাংকে কালো টাকা জমাকারী ৩ জনের নাম প্রকাশ করে ভারত। এরা হলেন ডাবর ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর সাবেক পরিচালক প্রদীপ বর্মণ, গুজরাটের রাজকোট জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পঙ্কজ চিমনলাল লোধিয়া ও গোয়ার খনি ব্যবসায়ী রাধা টিমলো।